বাংলাদেশে Tecno Spark 40 Pro Plus এর দাম bd price
Tecno Spark 40 Pro Plus হলো Tecno Mobile-এর Spark 40 সিরিজের প্রিমিয়াম সংস্করণ। এটি Android 15 ভিত্তিক HiOS 15.1 চালায় এবং MediaTek Helio G200 চিপসেট দ্বারা চালিত
পোস্ট সুচিপত্রঃযেটি Tecno-এর প্রথম ম্যাস বিওর্ডে G200 প্রয়োগের মোডেল Spark 40 Pro Plus এর রিলিজ জুলাই ২০২৫‑এ, এবং বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে আসার পরে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে
ভূমিকা
টেকনো মোবাইল বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে বাজেট এবং মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন মার্কেটে। বাংলাদেশেও টেকনোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, কারণ তারা সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে ভালো ফিচার সম্পন্ন ফোন অফার করে।
টেকনোর স্পার্ক সিরিজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি টেকনো তাদের স্পার্ক সিরিজের নতুন মডেল Tecno Spark 40 Pro Plus বাজারে নিয়ে এসেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা Tecno Spark 40 Pro Plus এর সম্পূর্ণ ফিচার, স্পেসিফিকেশন এবং বাংলাদেশে এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
📱 Tecno Spark 40 Pro Plus
সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন ও তথ্য
বৈশিষ্ট্য | বিস্তারিত তথ্য |
---|---|
📋 মূল তথ্য | |
ব্র্যান্ড | Tecno |
মডেল | Spark 40 Pro Plus |
RAM | 8 GB |
Storage (ROM) | 256 GB |
Main Camera | 108 MP + 2 MP + 0.3 MP |
Front Camera | 32 MP |
Battery | 5200 mAh |
ডিভাইস টাইপ | স্মার্টফোন |
Display | 6.78" AMOLED |
প্রকাশের তারিখ | জুলাই ২০২৫ |
বাংলাদেশ মূল্য | ৳২৮,৯৯০ - ৳৩২,০০০ |
⚙️ অপারেটিং সিস্টেম | |
অপারেটিং সিস্টেম | Android 15 |
ইউজার ইন্টারফেস | HiOS 15 |
🚀 প্রসেসর | |
CPU | MediaTek Helio G200 |
ফেব্রিকেশন | 6 nm |
চিপসেট | MediaTek Helio G200 |
আর্কিটেকচার | Octa-core (2x2.2 GHz Cortex-A76 & 6x2.0 GHz Cortex-A55) |
GPU | ARM Mali-G57 MC2 |
CPU কোর | 8 কোর |
🖥️ ডিসপ্লে | |
ডিসপ্লের আকার | 6.78 ইঞ্চি |
ডিসপ্লে টাইপ | AMOLED |
রেজোলিউশন | 1080 x 2436 pixels (FHD+) |
স্ক্রিন - শরীরের অনুপাত | ~89% |
টাচ স্ক্রিন | হ্যাঁ, Multi-touch |
পিক্সেল ঘনত্ব | ~396 PPI |
বেজেল-লেস ডিসপ্লে | হ্যাঁ |
রিফ্রেশ রেট | 120Hz |
স্ক্রিন প্রোটেকশন | Corning Gorilla Glass 7i |
উজ্জ্বলতা | 1000 nits |
HDR 10 / HDR + সমর্থন | হ্যাঁ |
📸 প্রধান ক্যামেরা | |
ক্যামেরা সেটআপ | ট্রিপল ক্যামেরা |
রেজোলিউশন | 108 MP + 2 MP + 0.3 MP |
ফ্ল্যাশ | LED ফ্ল্যাশ |
অটোফোকাস | হ্যাঁ |
ভিডিও FPS | 30fps |
OIS | না |
ছবির রেজোলিউশন | 108 MP |
জুম | ডিজিটাল জুম |
ভিডিও রেকর্ডিং | 2K @ 30fps |
শুটিং মোড | প্রো, পোর্ট্রেট, নাইট মোড |
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য | AI ফটোগ্রাফি, HDR |
অ্যাপারচার | f/1.8 |
🤳 সেলফি ক্যামেরা | |
ক্যামেরা সেটআপ | সিঙ্গেল ক্যামেরা |
রেজোলিউশন | 32 MP |
ভিডিও রেকর্ডিং | 1080p @ 30fps |
অ্যাপারচার | f/2.2 |
ভিডিও FPS | 30fps |
🎨 ডিজাইন | |
ওজন | 170 গ্রাম |
উচ্চতা | 163.76 mm |
রং | ব্ল্যাক, গ্রীন, ব্লু |
প্রস্থ | 75.89 mm |
ওয়াটারপ্রুফ | IP54 |
বেধ | 6.69 mm |
আইপি রেটিং | IP54 |
ধুলা প্রুফ | হ্যাঁ |
🔋 ব্যাটারি | |
ব্যাটারির ধরন | Li-Polymer |
দ্রুত চার্জিং | 45W |
ক্ষমতা | 5200 mAh |
ইউএসবি | USB Type-C |
স্থাপনা | নন-রিমুভেবল |
রিভার্স চার্জিং | না |
💾 মেমোরি | |
রযাম | 8 GB |
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ | 256 GB |
ইউএসবি ওটিজি | হ্যাঁ |
স্টোরেজ টাইপ | UFS 2.2 |
RAM টাইপ | LPDDR4X |
📶 নেটওয়ার্ক | |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G LTE |
সিমের সাইজ | Nano SIM |
সিম স্লট | ডুয়াল সিম |
VoLTE | হ্যাঁ |
EDGE | হ্যাঁ |
গতি | 4G LTE |
জিপিএস | হ্যাঁ, A-GPS |
WLAN | Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac |
ইনফ্রারেড | না |
ব্লুটুথ | v5.3 |
NFC | হ্যাঁ |
ইউএসবি | USB Type-C 2.0 |
ওয়াই-ফাই হটস্পট | হ্যাঁ |
GPRS | হ্যাঁ |
🔒 নিরাপত্তা | |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর | হ্যাঁ |
ফিঙ্গার সেন্সর টাইপ | অপটিক্যাল |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের অবস্থান | ডিসপ্লের নিচে |
ফেস আনলক | হ্যাঁ |
লাইট সেন্সর | হ্যাঁ |
🔊 অডিও | |
লাউডস্পিকার | হ্যাঁ, স্টেরিও |
অডিও জ্যাক | 3.5mm |
ভিডিও | MP4, H.264, H.265 |
ℹ️ অন্যান্য তথ্য | |
তৈরিকৃত দেশ | চীন |
বৈশিষ্ট্য | কার্ভড ডিসপ্লে, পাতলা ডিজাইন, AI ক্যামেরা, দ্রুত চার্জিং |
ডিজাইন এবং ডিসপ্লে
Tecno Spark 40 Pro Plus এর ডিজাইন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে টেকনো বেশ আধুনিক এবং আকর্ষণীয় একটি লুক অফার করেছে। ফোনটির পিছনের প্যানেলে গ্লাস বা গ্লসি ফিনিশ দেওয়া হয়েছে, যা একে প্রিমিয়াম লুক দেয়। ফোনটির ব্যাক প্যানেলে ক্যামেরা মডিউলটি একটি আলাদা আইল্যান্ডের মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ফোনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ফোনটির ফ্রন্টে একটি বড় ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যার উপরের বাম কোণায় সেলফি ক্যামেরার জন্য একটি ছোট নচ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Infinix Hot 60 Pro এর দাম ও সম্পূর্ণ তথ্য
ডিসপ্লের কথা বললে, ফোনটি 6.8 ইঞ্চির বড় ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে দিয়ে এসেছে, যার রেজোলিউশন 1080 x 2460 পিক্সেল। ডিসপ্লেটি আইপিএস এলসিডি টাইপের, যা ভালো কালার রিপ্রোডাকশন এবং ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল অফার করে। ডিসপ্লেটির রিফ্রেশ রেট 90Hz, যা স্ক্রোলিং এবং গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে আরও স্মুথ করে তোলে। ডিসপ্লেটির উপরে কর্নিং গরিলা গ্লাস প্রোটেকশন দেওয়া হয়েছে, যা স্ক্র্যাচ এবং ছোটখাটো আঘাত থেকে ডিসপ্লেকে রক্ষা করে। ডিসপ্লেটির ব্রাইটনেস লেভেলও বেশ ভালো, যা ডাইরেক্ট সানলাইটেও স্ক্রিন ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করে।
পারফরম্যান্স
পারফরম্যান্সের দিক থেকে Tecno Spark 40 Pro Plus বেশ শক্তিশালী একটি ডিভাইস। ফোনটিতে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে, যা 12nm প্রসেসে তৈরি। এই প্রসেসরটি অক্টা-কোর, যার মধ্যে দুটি কোর 2.0GHz এবং ছয়টি কোর 1.8GHz এ কাজ করে। এই প্রসেসরের সাথে মালি-জি৭৬ এমসি৪ জিপিইউ দেওয়া হয়েছে, যা গেমিং এবং গ্রাফিক্স পারফরম্যান্সকে আরও উন্নত করে।
র্যামের ক্ষেত্রে, ফোনটিতে 8GB র্যাম দেওয়া হয়েছে, যা মাল্টিটাস্কিং এবং হেভি অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও, ফোনটিতে ভার্চুয়াল র্যাম ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনাল স্টোরেজ থেকে আরও 5GB র্যাম যুক্ত করতে পারেন, যা মোট 13GB র্যাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এই ফিচারটি হেভি গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় ফোনের পারফরম্যান্সকে আরও উন্নত করে।
ডেইলি ইউজের ক্ষেত্রে ফোনটি বেশ স্মুথ এবং ফাস্ট। অ্যাপস খোলা, স্ক্রোলিং, গেমিং সবকিছুই বেশ ভালো অভিজ্ঞতা দেয়। হেভি গেম যেমন পাবজি মোবাইল, কল অফ ডিউটি মোবাইল ইত্যাদি মিডিয়াম গ্রাফিক্স সেটিংসে বেশ ভালোভাবে চলে। তবে হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে গেম খেলতে গেলে কিছুটা ফ্রেম ড্রপ অনুভূত হতে পারে।
ক্যামেরা
ক্যামেরার দিক থেকে Tecno Spark 40 Pro Plus বেশ ভালো একটি অপশন। ফোনটির পিছনে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে 50MP এর একটি সেন্সর, যার অ্যাপারচার f/1.6। এই ক্যামেরাটি দিনের বেলায় বেশ ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে। ছবিগুলোতে ভালো ডিটেইল, কালার অ্যাকুরেসি এবং ডায়নামিক রেঞ্জ দেখা যায়। দ্বিতীয় ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে 2MP এর একটি ডেপথ সেন্সর, যা পোর্ট্রেট মোডে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করতে সাহায্য করে। তৃতীয় ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে 2MP এর একটি ম্যাক্রো সেন্সর, যা ক্লোজ-আপ ছবি তুলতে সাহায্য করে।
ফোনটির সামনে সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 32MP এর একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যার অ্যাপারচার f/2.0। এই ক্যামেরাটিও দিনের বেলায় বেশ ভালো কোয়ালিটির সেলফি তুলতে পারে। সেলফিগুলোতে ভালো ডিটেইল এবং ন্যাচারাল কালার দেখা যায়। এছাড়াও, ফোনটিতে বিউটি মোড, পোর্ট্রেট মোড, এআই সিন ডিটেকশন, এআই বডি শেপিং ইত্যাদি ফিচার রয়েছে, যা সেলফি এবং ছবি তোলার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে, ফোনটি 1080p রেজোলিউশনে 30fps এ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। ভিডিও কোয়ালিটি বেশ ভালো, তবে ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (EIS) এর অভাবে হাতে কাঁপানোর সময় ভিডিও কিছুটা ঝাঁকুনি হতে পারে।
নাইট মোডের কথা বললে, ফোনটিতে একটি স্পেশাল নাইট মোড রয়েছে, যা কম আলোতে ছবি তুলতে সাহায্য করে। নাইট মোডে ছবি তুলতে কিছুটা সময় লাগে, তবে ফলাফল বেশ ভালো হয়। ছবিগুলোতে নয়েজ কম থাকে এবং ডিটেইলও বেশ ভালো থাকে।
ব্যাটারি এবং চার্জিং
ব্যাটারি লাইফের দিক থেকে Tecno Spark 40 Pro Plus বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেয়। ফোনটিতে 5000mAh এর একটি বড় ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা মডারেট ইউজে সহজেই একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে। হেভি ইউজেও ফোনটি সহজেই পুরো দিন চলতে পারে। ফোনটি দিয়ে কন্টিনিউয়াস ভিডিও প্লেব্যাক, গেমিং, ব্রাউজিং ইত্যাদি করলেও ব্যাটারি বেশি খরচ হয় না।
চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে, ফোনটি 33W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। ফোনটি ফুল চার্জ হতে প্রায় 70-80 মিনিট সময় লাগে। এই চার্জিং স্পিড বর্তমান সময়ের হিসেবে বেশ ভালো, বিশেষ করে এই প্রাইস রেঞ্জের ফোনের জন্য। ফোনটির সাথে একটি 33W চার্জার বক্সে দেওয়া হয়, তাই অতিরিক্ত চার্জার কেনার প্রয়োজন হয় না।
এছাড়াও, ফোনটিতে রিভার্স চার্জিং ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি অন্য ডিভাইসকে চার্জ করতে পারেন। এই ফিচারটি বিশেষ করে জরুরি মুহূর্তে কাজে দেয়, যখন আপনার অন্য কোনো ডিভাইসের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়।
ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশনের জন্য ফোনটিতে বিভিন্ন পাওয়ার সেভিং মোড রয়েছে, যা ব্যাটারি লাইফকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও, ফোনটিতে ব্যাটারি হেলথ ফিচার রয়েছে, যা ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেয় এবং ব্যাটারির লাইফ বাড়ানোর জন্য সাজেশন দেয়।
সফটওয়্যার এবং ইউআই
Tecno Spark 40 Pro Plus অ্যান্ড্রয়েড 13 অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর উপরে টেকনোর নিজস্ব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস HiOS 13 চলছে। HiOS টেকনো ফোনগুলোর জন্য একটি বেশ জনপ্রিয় কাস্টম ইউআই, যা অ্যান্ড্রয়েডের স্টক অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
HiOS 13 এ অনেকগুলো নতুন ফিচার এবং ইমপ্রুভমেন্ট রয়েছে। ইন্টারফেসটি বেশ কালারফুল এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি। হোম স্ক্রিনে আপনি বিভিন্ন থিম, ওয়ালপেপার, উইজেট ইত্যাদি কাস্টমাইজ করতে পারেন। ফোনটিতে সিস্টেম ওয়াইড ডার্ক মোড রয়েছে, যা চোখের চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যাটারি লাইফ বাড়ায়।
HiOS 13 এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো:
স্মার্ট প্যানেল: এটি একটি ফ্লোটিং প্যানেল, যা থেকে আপনি কুইকলি বিভিন্ন অ্যাপ এবং ফিচার অ্যাক্সেস করতে পারেন।
সোশ্যাল টুলকিট: এই ফিচারটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আরও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলে।
গেম স্পেস: গেমারদের জন্য একটি বিশেষ ফিচার, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে আরও উন্নত করে।
ডিজিটাল ওয়েলবিং: এই ফিচারটি আপনার ফোন ইউজেজ ট্র্যাক করে এবং ডিজিটাল ডিটক্সের জন্য সাহায্য করে।
প্রাইভেসি প্রোটেকশন: ফোনটিতে বিভিন্ন প্রাইভেসি ফিচার রয়েছে, যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
সফটওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে, টেকনো সাধারণত তাদের ফোনগুলোর জন্য নিয়মিত সিকিউরিটি প্যাচ এবং মাইনর আপডেট দিয়ে থাকে। তবে মেজর অ্যান্ড্রয়েড আপডেটের ক্ষেত্রে টেকনো একটু পিছিয়ে থাকে। ফোনটির জন্য অন্তত একটি মেজর অ্যান্ড্রয়েড আপডেট আশা করা যেতে পারে।
স্টোরেজ এবং মেমোরি
Tecno Spark 40 Pro Plus দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে: 8GB/128GB এবং 8GB/256GB। দুটি ভ্যারিয়েন্টেই র্যাম একই, শুধু ইন্টারনাল স্টোরেজের পার্থক্য রয়েছে। 128GB স্টোরেজ বেশিরভাগ ইউজারের জন্য যথেষ্ট হবে, তবে যারা বেশি গেম খেলেন, বেশি ছবি এবং ভিডিও সংরক্ষণ করেন তাদের জন্য 256GB ভ্যারিয়েন্টটি বেটার অপশন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Oppo Reno14 এর দাম ও সম্পূর্ণ তথ্য
ইন্টারনাল স্টোরেজ যদি কম পড়ে যায়, তাহলে ফোনটিতে মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ বাড়ানো যাবে। ফোনটি সর্বোচ্চ 512GB পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট করে। এছাড়াও, ফোনটিতে ডেডিকেটেড মাইক্রোএসডি স্লট রয়েছে, যার অর্থ আপনি দুটি সিম কার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি মাইক্রোএসডি কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন।
স্টোরেজ পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে, ফোনটিতে UFS 2.2 স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইমেজেস, ভিডিওস, অ্যাপস ইত্যাদি লোড করতে দ্রুত সাহায্য করে। অ্যাপস ইনস্টল করা, ফাইল ট্রান্সফার করা, গেম লোড করা সবকিছুই বেশ ফাস্ট হয়।
কানেক্টিভিটি
কানেক্টিভিটির দিক থেকে ফোনটি বেশ ভালো অপশন অফার করে। ফোনটি ডুয়েল ন্যানো সিম সাপোর্ট করে, এবং উভয় সিম স্লটে 4G VoLTE সাপোর্ট করে। নেটওয়ার্ক রিসেপশন বেশ ভালো, এবং কল কোয়ালিটিও বেশ ক্লিয়ার।
ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে, ফোনটি ওয়াইফাই 5 (802.11 a/b/g/n/ac) সাপোর্ট করে, যা ডুয়েল-ব্যান্ড (2.4GHz এবং 5GHz) সাপোর্ট করে। 5GHz ওয়াইফাই ব্যবহার করলে আপনি দ্রুত ইন্টারনেট স্পিড পাবেন। এছাড়াও, ফোনটিতে ওয়াইফাই ডাইরেক্ট, হটস্পট ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি অন্য ডিভাইসকে ইন্টারনেট শেয়ার করতে পারেন।
ব্লুটুথের ক্ষেত্রে, ফোনটি ব্লুটুথ 5.2 সাপোর্ট করে, যা দ্রুত এবং স্টেবল কানেকশন অফার করে। ব্লুটুথ ইয়ারফোন, স্পিকার, স্মার্টওয়াচ ইত্যাদি ডিভাইসের সাথে ফোনটি বেশ ভালোভাবে কানেক্ট হয়।
জিপিএসের ক্ষেত্রে, ফোনটি জিপিএস, এ-জিপিএস, গ্লোনাস সাপোর্ট করে। লোকেশন ট্র্যাকিং বেশ দ্রুত এবং অ্যাকুরেট। গুগল ম্যাপস, ওলা, উবার ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হয় না।
ফোনটিতে ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট দেওয়া হয়েছে, যা চার্জিং এবং ডাটা ট্রান্সফার উভয়ের জন্যই ব্যবহৃত হয়। ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের কারণে চার্জিং এবং ডাটা ট্রান্সফার উভয়ই দ্রুত হয়। এছাড়াও, ফোনটিতে 3.5mm অডিও জ্যাক রয়েছে, যা ওয়্যারড হেডফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো নিউজ।
অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে এফএম রেডিও, যা ওয়্যারড হেডফোন লাগিয়ে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (সাইড মাউন্টেড) এবং ফেস আনলক ফিচার রয়েছে, যা ফোন আনলক করতে সাহায্য করে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি বেশ ফাস্ট এবং অ্যাকুরেট, এবং ফেস আনলকও বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
অতিরিক্ত ফিচার
ফোনটিতে কিছু অতিরিক্ত ফিচার রয়েছে, যা ফোনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো:
অডিও বুস্ট: ফোনটিতে একটি স্পেশাল অডিও বুস্ট ফিচার রয়েছে, যা অডিও কোয়ালিটিকে আরও উন্নত করে। মিউজিক, মুভি, গেমিং সবকিছুতেই অডিও কোয়ালিটি বেশ ভালো লাগে। এছাড়াও, ফোনটিতে ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট রয়েছে, যা অডিও এক্সপেরিয়েন্সকে আরও উন্নত করে।
গেমিং ফিচার: গেমারদের জন্য ফোনটিতে কিছু স্পেশাল গেমিং ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গেম মোড, গেম স্পেস, টাচ অপটিমাইজেশন, পারফরম্যান্স বুস্ট ইত্যাদি। গেম মোড চালু করলে নোটিফিকেশন, কল ইত্যাদি ব্লক হয়ে যায়, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে আরও উন্নত করে।
এআই ফিচার: ফোনটিতে বিভিন্ন এআই ফিচার রয়েছে, যা ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরও উন্নত করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই ক্যামেরা ফিচার, এআই সিস্টেম অপটিমাইজেশন, এআই পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। এআই ক্যামেরা ফিচারের মাধ্যমে ছবি তোলার সময় সিন ডিটেকশন, লাইটিং অপটিমাইজেশন ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে।
সিকিউরিটি ফিচার: ফোনটিতে বিভিন্ন সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে, যা আপনার ডিভাইস এবং ডাটা সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপ লক, ফোন লক, প্রাইভেট স্পেস, অ্যান্টি-থেফট ফিচার ইত্যাদি। অ্যাপ লক ফিচারের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ লক করে রাখতে পারেন, যা শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা পাসওয়ার্ড দিয়ে খোলা যাবে।
স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট: ফোনটিতে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছাড়াও একটি স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার রয়েছে, যা বিভিন্ন টাস্ক অটোমেটিক্যালি করতে সাহায্য করে। এটি আপনার ইউজেজ প্যাটার্ন অনুযায়ী বিভিন্ন সাজেশন দেয়, যা আপনার ডেইলি টাস্কগুলোকে সহজ করে তোলে।
বাংলাদেশে Tecno Spark 40 Pro Plus এর দাম
বাংলাদেশের বাজারে Tecno Spark 40 Pro Plus দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। 8GB/128GB ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৪,৯৯০ টাকা এবং 8GB/256GB ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৭,৯৯০ টাকা। এই দাম বাংলাদেশের বাজারে অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই প্রাইস রেঞ্জে ফোনটি একটি বেশ ভালো অপশন, কারণ এই দামের মধ্যে ফোনটি বেশ ভালো ফিচার অফার করছে। বিশেষ করে এর বড় ডিসপ্লে, শক্তিশালী প্রসেসর, ভালো ক্যামেরা, বড় ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং ফিচার এই প্রাইস রেঞ্জে বেশ কমন নয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন স্টোর থেকে ফোনটি কেনা যাচ্ছে। অনলাইন স্টোরের মধ্যে দারাজ, পিকাবু, বাজার মার্ট ইত্যাদি থেকে ফোনটি কেনা যাচ্ছে। এছাড়াও, টেকনোর অফিসিয়াল স্টোর এবং অথোরাইজড রিটেইলারদের কাছ থেকেও ফোনটি কেনা যাচ্ছে।
অফারের কথা বললে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে ফোনটির উপর ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদ, পয়লা বৈশাখ, ব্ল্যাক ফ্রাইডে ইত্যাদি উৎসবের সময় ফোনটির উপর আকর্ষণীয় অফার পাওয়া যায়। এছাড়াও, কিছু অনলাইন স্টোর ইএমআই ফ্যাসিলিটিও অফার করে, যার মাধ্যমে আপনি ফোনটি কিস্তিতে কিনতে পারেন।
ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে, ফোনটির জন্য বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ১ বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। এছাড়াও, ৬ মাসের সার্ভিস ওয়ারেন্টিও রয়েছে। ওয়ারেন্টির মেয়াদকালীন সময়ে ফোনে কোনো সমস্যা হলে টেকনোর অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে ফ্রি সার্ভিস পাওয়া যাবে।
প্রতিযোগীদের সাথে তুলনা
বাংলাদেশের বাজারে ফোনটির প্রধান প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছে শাওমি রেডমি নোট ১২, রিয়েলমি নাম্বার সিরিজের কিছু মডেল, স্যামসাং গ্যালাক্সি এ২৩, ইনফিনিক্স নোট সিরিজের কিছু মডেল ইত্যাদি। এই ফোনগুলোর সাথে তুলনা করলে ফোনটির কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।
শাওমি রেডমি নোট ১২ এর সাথে তুলনা করলে, রেডমি নোট ১২ এর প্রসেসর একটু বেশি পাওয়ারফুল, তবে ফোনটির ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা বেশ ভালো। এছাড়াও, ফোনটির ব্যাটারি লাইফ রেডমি নোট ১২ এর তুলনায় একটু বেশি ভালো।
রিয়েলমি নাম্বার সিরিজের ফোনগুলোর সাথে তুলনা করলে, রিয়েলমি ফোনগুলোর সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্স একটু বেশি ক্লিন, তবে ফোনটির হার্ডওয়্যার ফিচার বেশ ভালো। এছাড়াও, ফোনটির ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি রিয়েলমি ফোনগুলোর তুলনায় একটু বেশি প্রিমিয়াম ফিল দেয়।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ২৩ এর সাথে তুলনা করলে, স্যামসাং ফোনটির ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং আফটার সেলস সার্ভিস বেশ ভালো, তবে ফোনটির ফিচার এবং পারফরম্যান্স স্যামসাং গ্যালাক্সি এ২৩ এর তুলনায় একটু বেশি ভালো। এছাড়াও, ফোনটির দাম স্যামসাং গ্যালাক্সি এ২৩ এর তুলনায় একটু কম।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Oppo Reno14 F এর দাম (BD Price) ও সম্পূর্ণ তথ্য
ইনফিনিক্স নোট সিরিজের ফোনগুলোর সাথে তুলনা করলে, ইনফিনিক্স ফোনগুলোর সাথে ফোনটির অনেক মিল রয়েছে, কারণ উভয় ব্র্যান্ডই একই কোম্পানির (ট্রানশন হোল্ডিংস) অধীনে। তবে ফোনটির ডিজাইন, সফটওয়্যার এবং ক্যামেরা পারফরম্যান্স ইনফিনিক্স ফোনগুলোর তুলনায় একটু বেশি ভালো।
সামগ্রিকভাবে, এই প্রাইস রেঞ্জে ফোনটি একটি বেশ ভালো অপশন, বিশেষ করে যারা বড় ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা এবং বড় ব্যাটারি খুঁজছেন তাদের জন্য।
সুবিধা এবং অসুবিধা
সুবিধা:
বড় এবং উচ্চমানের ডিসপ্লে: ফোনটি 6.8 ইঞ্চির বড় ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে দিয়ে এসেছে, যার রিফ্রেশ রেট 90Hz। ডিসপ্লেটি বেশ ভালো কালার রিপ্রোডাকশন এবং ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল অফার করে।
শক্তিশালী পারফরম্যান্স: ফোনটিতে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর এবং 8GB র্যাম দেওয়া হয়েছে, যা ডেইলি ইউজ এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও, ফোনটিতে ভার্চুয়াল র্যাম ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আরও 5GB র্যাম যুক্ত করা যায়।
ভালো ক্যামেরা: ফোনটির পিছনে 50MP এর একটি প্রাইমারি ক্যামেরা রয়েছে, যা দিনের বেলায় বেশ ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে। সামনে 32MP এর একটি সেলফি ক্যামেরা রয়েছে, যা সেলফি তোলার জন্য বেশ ভালো।
বড় ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং: ফোনটিতে 5000mAh এর একটি বড় ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা মডারেট ইউজে সহজেই একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে। এছাড়াও, ফোনটি 33W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যা ফোনটি দ্রুত চার্জ করতে সাহায্য করে।
আকর্ষণীয় ডিজাইন: ফোনটির ডিজাইন বেশ আধুনিক এবং আকর্ষণীয়। পিছনের প্যানেলে গ্লাস বা গ্লসি ফিনিশ দেওয়া হয়েছে, যা একে প্রিমিয়াম লুক দেয়।
ভালো সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্স: ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড 13 অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি, এবং এর উপরে টেকনোর নিজস্ব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস HiOS 13 চলছে। HiOS 13 বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং অনেকগুলো নতুন ফিচার অফার করে।
ভালো কানেক্টিভিটি অপশন: ফোনটিতে ডুয়েল সিম, 4G VoLTE, ওয়াইফাই 5, ব্লুটুথ 5.2, জিপিএস, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট, 3.5mm অডিও জ্যাক ইত্যাদি রয়েছে, যা বেশ ভালো কানেক্টিভিটি অপশন অফার করে।
যুক্তিসঙ্গত দাম: এই সমস্ত ফিচারের পরেও ফোনটির দাম বেশ যুক্তিসঙ্গত, যা বাংলাদেশের বাজারে একে একটি আকর্ষণীয় অপশন করে তুলেছে।
অসুবিধা:
ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স নেই: ফোনটিতে কোনো অফিসিয়াল ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স রেটিং নেই, যার অর্থ ফোনটি পানি থেকে সুরক্ষিত নয়।
লিমিটেড সফটওয়্যার আপডেট: টেকনো সাধারণত তাদের ফোনগুলোর জন্য লিমিটেড সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে থাকে, যার অর্থ আপনি হয়তো খুব বেশি মেজর অ্যান্ড্রয়েড আপডেট পাবেন না।
হেভি গেমিংয়ে সামান্য ফ্রেম ড্রপ: হেভি গেম যেমন পাবজি মোবাইল, কল অফ ডিউটি মোবাইল ইত্যাদি হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে খেলতে গেলে কিছুটা ফ্রেম ড্রপ অনুভূত হতে পারে।
কোনো অ্যামোলেড ডিসপ্লে নেই: ফোনটিতে আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যা অ্যামোলেড ডিসপ্লের তুলনায় কিছুটা কম ভাইব্র্যান্ট কালার অফার করে।
ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (EIS) এর অভাব: ফোনটিতে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (EIS) এর অভাব রয়েছে, যার কারণে হাতে কাঁপানোর সময় ভিডিও কিছুটা ঝাঁকুনি হতে পারে।
উপসংহার
সামগ্রিকভাবে, Tecno Spark 40 Pro Plus বাংলাদেশের বাজারে একটি বেশ ভালো অপশন, বিশেষ করে যারা বাজেটের মধ্যে ভালো ফিচার সম্পন্ন ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য। ফোনটির বড় ডিসপ্লে, শক্তিশালী পারফরম্যান্স, ভালো ক্যামেরা, বড় ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং ফিচার একে এই প্রাইস রেঞ্জে একটি আকর্ষণীয় অপশন করে তুলেছে।
যারা মূলত মিডিয়া কনজাম্পশন, সোশ্যাল মিডিয়া, লাইট গেমিং এবং ডেইলি ইউজের জন্য একটি ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য ফোনটি একটি বেশ ভালো চয়েস হতে পারে। এছাড়াও, যারা বড় ডিসপ্লে এবং বড় ব্যাটারি পছন্দ করেন, তাদের জন্যও ফোনটি একটি ভালো অপশন।
তবে, যারা হেভি গেমিং করতে চান, বা যারা অ্যামোলেড ডিসপ্লে পছন্দ করেন, বা যারা নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট চান, তাদের জন্য অন্য কোনো অপশন বিবেচনা করা ভালো হতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে ফোনটির দাম ২৪,৯৯০ টাকা (8GB/128GB) এবং ২৭,৯৯০ টাকা (8GB/256GB), যা এই ফিচারগুলোর জন্য বেশ যুক্তিসঙ্গত। এই প্রাইস রেঞ্জে ফোনটি তার প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশ ভালো ভ্যালু অফার করে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Tecno Spark 40C এর দাম ও সম্পূর্ণ তথ্য
সবশেষে, যদি আপনি একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোন খুঁজছেন, যা ভালো ফিচার, ভালো পারফরম্যান্স এবং ভালো ব্যাটারি লাইফ অফার করে, তাহলে Tecno Spark 40 Pro Plus আপনার জন্য একটি ভালো চয়েস হতে পারে।
ইভিনিং বিডিতে কমেন্ট করুন
comment url