বাংলাদেশে Vivo Y400 এর দাম bd price
বর্তমান স্মার্টফোন বাজারে মাঝারি মাপের ফোনগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দ্রুত। সেই ধারায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক লঞ্চ হয়েছে Vivo Y400
পোস্ট সুচিপত্রঃযা তার আকর্ষণীয় ফিচার ও উজ্জ্বল ডিসপ্লে দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এই নিবন্ধে আমি Vivo Y400 এর অফিসিয়াল BD price (বাংলাদেশে মূল্য), স্পেসিফিকেশন, ফিচার, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং কেন কেনার মত ফোন তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।
ভূমিকা
স্মার্টফোন বাজারে ভিভো একটি পরিচিত নাম, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাজারে তাদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত উভয় শ্রেণীর ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ভিভো নিয়মিত নতুন নতুন মডেল বাজারে আনছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে এসেছে Vivo Y400,
যা তার আকর্ষণীয় ফিচার ও সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা Vivo Y400 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যার মধ্যে থাকবে এর স্পেসিফিকেশন, ফিচার, বাংলাদেশে দাম এবং কোথায় কিভাবে এটি কিনতে পারবেন।
📱 Vivo Y400 স্পেসিফিকেশন
সম্পূর্ণ বিশদ বিবরণ ও দাম
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
📱 মৌলিক তথ্য | |
ব্র্যান্ড | Vivo |
মডেল | Y400 4G |
RAM | 8GB |
Storage (ROM) | 128GB / 256GB |
Main Camera | 50MP + 2MP ডুয়াল ক্যামেরা |
Front Camera | 16MP সেলফি ক্যামেরা |
Battery | 6000mAh ব্যাটারি |
ডিভাইস টাইপ | স্মার্টফোন (4G) |
Display | 6.67" IPS LCD |
প্রকাশের তারিখ | জুলাই ২০২৫ |
বাংলাদেশ মূল্য | ৳২৯,৯৯৯ - ৳৩২,৯৯৯ |
💻 সফটওয়্যার | |
অপারেটিং সিস্টেম | Android 14 |
ইউজার ইন্টারফেস | Funtouch OS 14 |
⚡ হার্ডওয়্যার | |
CPU | Qualcomm Snapdragon 685 |
চিপসেট | Snapdragon 685 (6nm) |
আর্কিটেকচার | 64-bit |
GPU | Adreno 610 |
CPU কোর | Octa-core (4x2.8 GHz Cortex-A73 & 4x1.9 GHz Cortex-A53) |
ফেব্রিকেশন | 6nm প্রযুক্তি |
📺 ডিসপ্লে | |
ডিসপ্লের আকার | 6.67 ইঞ্চি |
ডিসপ্লে টাইপ | IPS LCD |
রেজোলিউশন | 1080 x 2400 পিক্সেল (FHD+) |
স্ক্রিন - শরীরের অনুপাত | ~85.2% |
টাচ স্ক্রিন | হ্যাঁ, মাল্টি-টাচ |
পিক্সেল ঘনত্ব | ~395 PPI |
বেজেল-লেস ডিসপ্লে | হ্যাঁ |
রিফ্রেশ রেট | 90Hz |
স্ক্রিন প্রোটেকশন | Corning Gorilla Glass |
উজ্জ্বলতা | 600 nits |
HDR 10 / HDR + সমর্থন | না |
📷 প্রধান ক্যামেরা | |
ক্যামেরা সেটআপ | ডুয়াল ক্যামেরা |
রেজোলিউশন | 50MP (প্রধান) + 2MP (ডেপথ) |
ফ্ল্যাশ | LED ফ্ল্যাশ |
অটোফোকাস | PDAF |
ভিডিও FPS | 1080p@30fps |
OIS | না |
ছবির রেজোলিউশন | 8165 x 6124 পিক্সেল |
জুম | ডিজিটাল জুম |
ভিডিও রেকর্ডিং | 1080p@30fps |
শুটিং মোড | নাইট মোড, পোর্ট্রেট, প্রো মোড |
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য | AI ফটোগ্রাফি, বিউটি মোড, HDR |
অ্যাপারচার | f/1.8 (প্রধান), f/2.4 (ডেপথ) |
🤳 ফ্রন্ট ক্যামেরা | |
ক্যামেরা সেটআপ | একক ক্যামেরা |
রেজোলিউশন | 16MP |
ভিডিও রেকর্ডিং | 1080p@30fps |
অ্যাপারচার | f/2.0 |
ভিডিও FPS | 30fps |
🏗️ ডিজাইন ও বিল্ড | |
ওজন | 190 গ্রাম |
উচ্চতা | 164.6 মিমি |
প্রস্থ | 76.2 মিমি |
বেধ | 8.4 মিমি |
রং | গ্রাফাইট ব্ল্যাক, টাইটানিয়াম সিলভার |
ওয়াটারপ্রুফ | IP54 |
আইপি রেটিং | IP54 |
ধুলা প্রুফ | হ্যাঁ |
🔋 ব্যাটারি | |
ব্যাটারির ধরন | Li-Po |
ক্ষমতা | 6000mAh |
দ্রুত চার্জিং | 44W ফাস্ট চার্জিং |
ইউএসবি | USB Type-C |
স্থাপনা | নন-রিমুভেবল |
রিভার্স চার্জিং | না |
💾 মেমোরি | |
রযাম | 8GB |
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ | 128GB / 256GB |
ইউএসবি ওটিজি | হ্যাঁ |
স্টোরেজ টাইপ | UFS 2.2 |
RAM টাইপ | LPDDR4X |
📶 নেটওয়ার্ক | |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G LTE |
সিমের সাইজ | Nano-SIM |
সিম স্লট | ডুয়াল সিম (Nano-SIM, dual stand-by) |
VoLTE | হ্যাঁ |
EDGE | হ্যাঁ |
গতি | HSPA, LTE |
জিপিএস | হ্যাঁ, A-GPS, GLONASS, BDS |
WLAN | Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac |
ইনফ্রারেড | না |
ব্লুটুথ | 5.0, A2DP, LE |
NFC | না |
ইউএসবি | USB Type-C 2.0 |
ওয়াই-ফাই হটস্পট | হ্যাঁ |
GPRS | হ্যাঁ |
🔒 নিরাপত্তা | |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর | হ্যাঁ |
ফিঙ্গার সেন্সর টাইপ | ক্যাপাসিটিভ |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের অবস্থান | সাইড-মাউন্টেড |
ফেস আনলক | হ্যাঁ |
লাইট সেন্সর | হ্যাঁ (অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর) |
🔊 অডিও | |
লাউডস্পিকার | হ্যাঁ |
অডিও জ্যাক | 3.5mm হেডফোন জ্যাক |
🎥 ভিডিও ও মিডিয়া | |
ভিডিও | MP4, H.264, H.265, AVI, MKV, 3GP |
⭐ অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য | |
তৈরিকৃত দেশ | চীন |
বৈশিষ্ট্য |
• Extended RAM (অতিরিক্ত 8GB রযাম) • AI ফটোগ্রাফি • গেম মোড • স্মার্ট স্প্লিট • আল্ট্রা গেম মোড • ডুয়াল ভিউ ভিডিও • সুপার নাইট মোড • ডকুমেন্ট রেক্টিফিকেশন • AI স্কিন টোন অপ্টিমাইজেশন • মাল্টি-টার্বো 5.0 • iManager (সিস্টেম অপ্টিমাইজেশন) • ভয়েস চেঞ্জার • মোশন ফটো • লাইভ ফটো • পোর্ট্রেট বোকেহ • প্রো মোড • স্লো মোশন ভিডিও • টাইম ল্যাপ্স • গুগল লেন্স সাপোর্ট • ডার্ক মোড • ওয়ান-হ্যান্ড মোড |
📱 তথ্য সংগৃহীত: আগস্ট ২০২৫ | দাম পরিবর্তনশীল
⚠️ সঠিক দাম ও বৈশিষ্ট্যের জন্য অফিসিয়াল রিটেইলারের সাথে যোগাযোগ করুন
Vivo Y400 স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
Vivo Y400 একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা আধুনিক প্রযুক্তি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ফোনটি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের চাহিদা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে যারা স্টাইলিশ লুক এবং ভালো পারফরমেন্স উভয়ই চান।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে ZTE Blade A35e এর দাম bd price
Vivo Y400-এ রয়েছে 6.58 ইঞ্চির একটি বড় ডিসপ্লে যা ফুল এইচডি+ রেজোলিউশন সমর্থন করে। এতে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর যা দৈনন্দিন কাজ এবং মাঝারি মানের গেমিং এর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। এছাড়াও এতে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা প্রয়োজনে মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
Vivo Y400-এর ডিজাইন খুবই আকর্ষণীয় এবং মডার্ন। এর ব্যাক প্যানেলে রয়েছে গ্লসি ফিনিশ যা আলোতে বিভিন্ন কোণ থেকে দেখলে বিভিন্ন রঙের আভা তৈরি করে। ফোনটির ওজন মাত্র ১৮২ গ্রাম যা হাতে ধরতে খুবই আরামদায়ক। এর ডাইমেনশন ১৬৪ x ৭৫.৮ x ৮.২ মিমি, যা একহাতে ব্যবহার করা সহজ করে তোলে।
ডিসপ্লের কথা বললে, Vivo Y400-তে রয়েছে ৬.৫৮ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে যার রেজোলিউশন ১০৮০ x ২৪০৮ পিক্সেল। এর রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ যা স্ক্রোলিং এবং গেমিং এর অভিজ্ঞতাকে আরও স্মুথ করে তোলে। ডিসপ্লের ব্রাইটনেস লেভেল যথেষ্ট ভালো, যা সরাসরি রোদেও স্ক্রিন দেখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ওয়াটারড্রপ নচ যেখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা অবস্থিত। ডিসপ্লেটি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ দিয়ে সুরক্ষিত যা স্ক্র্যাচ এবং ছোটখাটো আঘাত থেকে রক্ষা করে।
ক্যামেরা ক্ষমতা
ক্যামেরা হল Vivo Y400-এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এর পিছনে রয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, যার প্রাইমারি ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের। এছাড়াও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর। প্রাইমারি ক্যামেরাটি f/1.8 অ্যাপারচার সহ আসে যা কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করে। ক্যামেরাটিতে রয়েছে ফেজ ডিটেকশন অটোফোকাস যা দ্রুত এবং নিখুঁত ফোকাস নিশ্চিত করে।
সেলফি ক্যামেরা হিসেবে Vivo Y400-তে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা যা f/2.0 অ্যাপারচার সমর্থন করে। সেলফি ক্যামেরাটিতে রয়েছে বিভিন্ন বিউটি মোড এবং এআই ফিচার যা সেলফি তোলার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে, Vivo Y400 ১০৮০পি @ ৬০fps পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। এছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিডিও মোড যেমন টাইমল্যাপস, স্লো মোশন ইত্যাদি। ক্যামেরা অ্যাপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং এতে রয়েছে বিভিন্ন প্রিসেট মোড যা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপকারী।
পারফরম্যান্স ও হার্ডওয়্যার
Vivo Y400-এর পারফরম্যান্স বেশ ভালো, বিশেষ করে এর দামের তুলনায়। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর যা ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এই প্রসেসরটি ৮টি কোর নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ৪টি কোর ২.৪ গিগাহার্টজ এবং বাকি ৪টি কোর ১.৯ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে চলে। এই প্রসেসরের সাথে রয়েছে অ্যাড্রেনো ৬১০ জিপিইউ যা গ্রাফিক্স পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী।
র্যাম হিসেবে Vivo Y400-তে রয়েছে ৮ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম, যা মাল্টিটাস্কিং এবং ভারী অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও এতে রয়েছে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ যা ইউএফএস ২.২ টেকনোলজি ব্যবহার করে, ফলে অ্যাপ ইনস্টল এবং ফাইল ট্রান্সফার খুবই দ্রুত হয়। প্রয়োজনে এই স্টোরেজটি মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
গেমিং পারফরম্যান্সের কথা বললে, Vivo Y400 মাঝারি মানের গেম যেমন পাবজি মোবাইল, কল অফ ডিউটি মোবাইল, ফ্রিফায়ার ইত্যাদি মাঝারি গ্রাফিক্স সেটিংসে বেশ ভালোভাবে চালাতে পারে। তবে হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে ভারী গেম খেলতে গেলে কিছুটা ফ্রেম ড্রপ হতে পারে। ফোনটিতে রয়েছে গেমিং মোড যা গেমিং এর সময় পারফরম্যান্স অপ্টিমাইজ করে এবং বিঘ্নকারী নোটিফিকেশন বন্ধ রাখে।
ব্যাটারি ও চার্জিং
ব্যাটারি লাইফ যেকোনো স্মার্টফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, এবং Vivo Y400 এই দিকটিতে ভালো করেছে। এতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ক্ষমতার বড় ব্যাটারি যা সাধারণ ব্যবহারে সহজেই একদিনের বেশি ব্যাকআপ দেয়। ভারী ব্যবহারেও এটি সম্পূর্ণ দিন চলতে পারে।
চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে, Vivo Y400 সাপোর্ট করে ৪৪ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে ০ থেকে ৫০% চার্জ হতে পারে, এবং পুরো ব্যাটারি চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় ৭০ মিনিট। এটি ব্যস্ত জীবনযাপনকারীদের জন্য খুবই উপকারী, কারণ তারা খুব কম সময়েই ফোন চার্জ করে নিতে পারেন।
ব্যাটারি সেভিং এর জন্য Vivo Y400-তে রয়েছে বিভিন্ন মোড যেমন পাওয়ার সেভিং মোড, সুপার পাওয়ার সেভিং মোড ইত্যাদি। এছাড়াও এতে রয়েছে অপটিমাইজড ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে সাহায্য করে।
সফটওয়্যার ও ইউজার ইন্টারফেস
Vivo Y400 অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে এসেছে, যার উপরে রয়েছে ভিভোর নিজস্ব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস ফানটাচ ওএস ১২। এই ইউজার ইন্টারফেসটি বেশ কালারফুল এবং ব্যবহার করা সহজ। এতে রয়েছে বিভিন্ন কাস্টমাইজেশন অপশন যা ব্যবহারকারীদের নিজের মতো করে ফোন সেটআপ করতে সাহায্য করে।
ফানটাচ ওএস ১২-এর সাথে Vivo Y400-তে রয়েছে বিভিন্ন ইউনিক ফিচার যেমন গেসচার নেভিগেশন, ডার্ক মোড, ডিজিটাল ওয়েলবিং, গেমিং মোড, কিডস মোড ইত্যাদি। এছাড়াও এতে রয়েছে বিল্ট-ইন স্ক্রিন রেকর্ডার, স্ক্রিনশট গেসচার, স্মার্ট স্প্লিট, মাল্টি-উইন্ডো সাপোর্ট ইত্যাদি উপকারী ফিচার।
সিকিউরিটির দিকে, Vivo Y400-তে রয়েছে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যা খুবই দ্রুত এবং নিখুঁতভাবে কাজ করে। এছাড়াও রয়েছে ফেস আনলক ফিচার যা কম আলোতেও কাজ করে। এই দুটি ফিচার মিলে ফোনটিকে খুবই সুরক্ষিত করে তোলে।
সমমূল্যের অন্যান্য ফোনের সাথে তুলনা
বাংলাদেশের বাজারে Vivo Y400-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো শাওমি রেডমি নোট ১১ প্রো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২, রিয়েলমি ৯ প্রো এবং ওয়ালটন প্রিমো এক্স৮। এই ফোনগুলোর সাথে Vivo Y400-এর তুলনা করলে দেখা যায়:
ডিসপ্লের দিক থেকে Vivo Y400-এর ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট অন্যান্য ফোনগুলোর তুলনায় এগিয়ে। শাওমি রেডমি নোট ১১ প্রো এবং রিয়েলমি ৯ প্রো-এরও ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট আছে, কিন্তু স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২ এবং ওয়ালটন প্রিমো এক্স৮-এর রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ।
পারফরম্যান্সের দিক থেকে Vivo Y400-এর স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর শাওমি রেডমি নোট ১১ প্রো-এর স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ এবং রিয়েলমি ৯ প্রো-এর মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৫ এর তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে, কিন্তু স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২-এর এক্সিনস ৮৫০ এবং ওয়ালটন প্রিমো এক্স৮-এর মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ এর চেয়ে এগিয়ে।
ক্যামেরার দিক থেকে Vivo Y400-এর ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা শাওমি রেডমি নোট ১১ প্রো এবং রিয়েলমি ৯ প্রো-এর ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় পিছিয়ে, কিন্তু স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২-এর ৫০ মেগাপিক্সেল এবং ওয়ালটন প্রিমো এক্স৮-এর ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সাথে প্রায় সমান।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Proton X20 Pro এর দাম bd price
ব্যাটারি লাইফের দিক থেকে Vivo Y400-এর ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৪ওয়াট ফাস্ট চার্জিং অন্যান্য সব ফোনের তুলনায় ভালো। শাওমি রেডমি নোট ১১ প্রো এবং রিয়েলমি ৯ প্রো-এরও ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে, কিন্তু তাদের চার্জিং স্পিড কম (৩৩ওয়াট এবং ৩০ওয়াট)। স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২-এর ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে কিন্তু চার্জিং স্পিড মাত্র ২৫ওয়াট। ওয়ালটন প্রিমো এক্স৮-এর ব্যাটারি ৪৮০০ এমএএইচ এবং চার্জিং স্পিড ১৮ওয়াট।
সামগ্রিকভাবে, Vivo Y400 এর দামের তুলনায় ভালো ফিচার অফার করে, বিশেষ করে ডিসপ্লে এবং চার্জিং স্পিডের দিক থেকে।
বাংলাদেশে Vivo Y400 এর দাম
বাংলাদেশের বাজারে Vivo Y400-এর দাম নির্ভর করে র্যাম এবং স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের উপর। বর্তমানে বাংলাদেশে Vivo Y400-এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে:
১. ৮ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ: এই ভ্যারিয়েন্টের দাম প্রায় ২৪,৯৯০ টাকা।
২. ৮ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ: এই ভ্যারিয়েন্টের দাম প্রায় ২৭,৯৯০ টাকা।
এই দামগুলো অফিসিয়াল দাম, তবে বিভিন্ন অনলাইন শপ বা রিটেইলারের ক্ষেত্রে এই দামের কিছুটা হেরফের হতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব বা অফারের সময় Vivo Y400-এর দাম কিছুটা কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশে Vivo Y400-এর দামের ইতিহাস দেখলে দেখা যায়, ফোনটি প্রথম বাজারে আসার সময় এর দাম ছিল প্রায় ২৬,৯৯০ টাকা (৮/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট) এবং ২৯,৯৯০ টাকা (৮/২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্ট)। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এর দাম কমে এসেছে। বর্তমানে এটি একটি ভালো মানের মিড-রেঞ্জ ফোন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যার দাম অনেকটাই সাশ্রয়ী।
কোথায় Vivo Y400 কিনতে পাবেন
বাংলাদেশে Vivo Y400 কিনতে পাওয়া যায় বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন স্টোর থেকে। ভিভোর অফিসিয়াল স্টোর, বিভিন্ন মোবাইল শোরুম, এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এটি পাওয়া যায়।
অফলাইনে Vivo Y400 কিনতে চাইলে আপনি ভিভোর অফিসিয়াল স্টোরে যেতে পারেন। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, এবং বিভিন্ন বড় শপিং মলে ভিভোর অফিসিয়াল স্টোর রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোবাইল শোরুম যেমন মাইক্রোসফট, স্মার্ট টেকনোলজি, রবি আজিজ ইত্যাদিতেও Vivo Y400 পাওয়া যায়।
অনলাইনে Vivo Y400 কিনতে চাইলে আপনি ভিজিট করতে পারেন দারাজ, পিকাবু, বাজারমার্ট ইত্যাদি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এছাড়াও ভিভোর নিজস্ব ই-কমার্স সাইট থেকেও এটি কিনতে পারেন। অনলাইনে কেনার সুবিধা হলো আপনি বিভিন্ন অফার এবং ডিসকাউন্ট পেতে পারেন, এবং পণ্যটি আপনার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
Vivo Y400 কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি অথেনটিক পণ্যটি কিনছেন। ভিভোর অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি কার্ড এবং বিল সংগ্রহ করুন। ভিভো বাংলাদেশে Vivo Y400-এর জন্য এক বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি প্রদান করে।
Vivo Y400 এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা:
১. আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি
২. ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সহ বড় এবং ভালো মানের ডিসপ্লে
৩. ভালো পারফরম্যান্স প্রদানকারী প্রসেসর
৪. ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা যা ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করে
৫. ৫০০০ এমএএইচ বড় ব্যাটারি যা সহজেই সারাদিন চলে
৬. ৪৪ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট
৭. ভালো মানের সফটওয়্যার এবং ইউজার ইন্টারফেস
৮. দ্রুত এবং নিখুঁত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
৯. সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো ফিচার
১০. অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি সাপোর্ট
অসুবিধা:
১. ক্যামেরা কোয়ালিটি কিছুটা পিছিয়ে, বিশেষ করে কম আলোতে
২. হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে ভারী গেম খেলতে সমস্যা হতে পারে
৩. স্টেরিও স্পিকার নেই
৪. ওয়াটারপ্রুফ রেটিং নেই
৫. কিছু প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ থাকতে পারে যা ব্যবহারকারীর জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে
৬. ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট নেই
৭. ৫জি কানেকটিভিটি সাপোর্ট নেই
উপসংহার
সামগ্রিকভাবে Vivo Y400 একটি ভালো মানের মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা বাংলাদেশের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর আকর্ষণীয় ডিজাইন, ভালো মানের ডিসপ্লে, যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স, এবং বড় ব্যাটারি এটিকে এই দামের রেঞ্জে একটি প্রতিযোগিতামূলক অপশন করে তুলেছে। বিশেষ করে যারা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য একটি ভালো ফোন খুঁজছেন, কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতা আছে, তাদের জন্য Vivo Y400 একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Samsung Galaxy M36 এর দাম bd price
যদিও এর কিছু অসুবিধা আছে, যেমন কম আলোতে ক্যামেরার পারফরম্যান্স কিছুটা কম, এবং হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে ভারী গেম খেলতে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু এই দামের রেঞ্জে এই অসুবিধাগুলো মেনে নেওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশে Vivo Y400-এর দাম ২৪,৯৯০ টাকা থেকে ২৭,৯৯০ টাকার মধ্যে, যা এই ফিচারের ফোনের জন্য যুক্তিসঙ্গত। আপনি যদি একটি ভালো মানের মিড-রেঞ্জ ফোন খুঁজছেন যা আপনার দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে পারবে, তাহলে Vivo Y400 বিবেচনা করতে পারেন।
শেষ কথা হিসেবে বলা যায়, Vivo Y400 বাংলাদেশের বাজারে একটি ভালো মানের মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো ফিচার অফার করে। আপনি যদি একটি নতুন ফোন কেনার কথা ভাবছেন এবং আপনার বাজেট ২৫,০০০ টাকার কাছাকাছি, তাহলে Vivo Y400 একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
ইভিনিং বিডিতে কমেন্ট করুন
comment url