বাংলাদেশে iPhone 16 Pro Max এর দাম (Price In BD)
iPhone 16 Pro Max হল Apple–এর সর্বশেষ ও শীর্ষস্থ ধরণের স্মার্টফোন, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়েছিল।
পোস্ট সুচিপত্রঃএটি Pro সিরিজের সর্বোচ্চ সংস্করণ, অনেক উন্নত ফিচার, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও বিলাসবহুল ডিজাইন নিয়ে বাজারে আসে। এই প্রবন্ধে আমরা iPhone 16 Pro Max-এর বাংলাদেশে দাম, বৈশিষ্ট্য, তুলনামূলক সুবিধা ও কেন কেনার কথা বিবেচনা করা উচিত সবই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
ভূমিকা
প্রতিবছর অ্যাপলের নতুন আইফোন মডেল নিয়ে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা দেখা দেয়, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স এর আগমনী বার্তায় দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশে iPhone 16 Pro Max এর সম্ভাব্য দাম, ফিচার, উপলব্ধতা এবং আরও অনেক কিছু। আইফোনের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন সিরিজের এই সর্বশেষ সংযোজন কীভাবে বাংলাদেশের বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: প্রত্যাশিত ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন
iPhone 16 Pro Max
সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন ও দাম
স্পেসিফিকেশন | বিস্তারিত তথ্য |
---|---|
ব্র্যান্ড | Apple |
মডেল | iPhone 16 Pro Max |
RAM | 8GB |
Storage (ROM) | 256GB / 512GB / 1TB |
Main Camera |
• 48MP Fusion (Main): ƒ/1.78 aperture • 48MP Ultra Wide: ƒ/2.2 aperture • 12MP 5x Telephoto: ƒ/2.8 aperture |
Front Camera | 12MP TrueDepth, ƒ/1.9 aperture |
Battery | Li-Ion 4676mAh (যাকে Apple নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি প্রকাশ করে না) |
ডিভাইস টাইপ | স্মার্টফোন (প্রিমিয়াম/ফ্ল্যাগশিপ) |
Display | 6.9" Super Retina XDR OLED |
প্রকাশের তারিখ | সেপ্টেম্বর ২০২৪ |
বাংলাদেশ মূল্য |
256GB: ২,০৮,০০০ - ২,২০,০০০ টাকা 512GB: ২,৫০,০০০ - ২,৭০,০০০ টাকা 1TB: ২,৯০,০০০ - ৩,২০,০০০ টাকা |
অপারেটিং সিস্টেম | iOS 18 |
CPU | Apple A18 Pro (3nm) |
ইউজার ইন্টারফেস | iOS 18 with Apple Intelligence |
ফেব্রিকেশন | 3 ন্যানোমিটার |
চিপসেট | Apple A18 Pro |
আর্কিটেকচার | ARM-based |
GPU | 6-core GPU (Apple designed) |
CPU কোর | 6-core (2 Performance + 4 Efficiency) |
ডিসপ্লের আকার | 6.9 ইঞ্চি |
ডিসপ্লে টাইপ | Super Retina XDR OLED |
রেজোলিউশন | 2868 x 1320 pixels (460 ppi) |
স্ক্রিন - শরীরের অনুপাত | ~89.8% |
টাচ স্ক্রিন | হ্যাঁ (Multi-touch capacitive) |
পিক্সেল ঘনত্ব | 460 PPI |
বেজেল-লেস ডিসপ্লে | হ্যাঁ (Dynamic Island সহ) |
রিফ্রেশ রেট | 120Hz ProMotion |
স্ক্রিন প্রোটেকশন | Ceramic Shield (latest generation) |
উজ্জ্বলতা |
1000 nits (সাধারণ) 1600 nits (HDR) 2000 nits (বাইরে) |
HDR 10 / HDR + সমর্থন | হ্যাঁ (Dolby Vision, HDR10+) |
ক্যামেরা সেটআপ | ট্রিপল ক্যামেরা + LiDAR |
মূল ক্যামেরা রেজোলিউশন | 48MP + 48MP + 12MP |
ফ্ল্যাশ | True Tone flash with Slow Sync |
অটোফোকাস | হ্যাঁ (সব ক্যামেরায়) |
ভিডিও FPS | 4K@24/25/30/60/120fps, 1080p@240fps |
OIS | হ্যাঁ (Second-gen sensor-shift OIS) |
ছবির রেজোলিউশন | 48MP (সর্বোচ্চ) |
জুম | 5x অপটিক্যাল জুম, 25x ডিজিটাল জুম |
ভিডিও রেকর্ডিং | 4K Dolby Vision, ProRes, Log recording |
শুটিং মোড | Night mode, Portrait, Cinematic, Macro, Action |
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য |
Camera Control button Spatial photos/videos Photographic Styles Smart HDR 5 |
মূল ক্যামেরার অ্যাপারচার | ƒ/1.78 (Main), ƒ/2.2 (Ultra Wide), ƒ/2.8 (Telephoto) |
ফ্রন্ট ক্যামেরা সেটআপ | TrueDepth সিস্টেম |
ফ্রন্ট ক্যামেরা রেজোলিউশন | 12MP |
ফ্রন্ট ক্যামেরা ভিডিও রেকর্ডিং | 4K@24/25/30/60fps, 1080p@120fps |
ফ্রন্ট ক্যামেরার অ্যাপারচার | ƒ/1.9 |
ফ্রন্ট ক্যামেরা ভিডিও FPS | ৬০fps পর্যন্ত |
ওজন | 227 গ্রাম |
উচ্চতা | 163.0 mm |
রং |
Black Titanium White Titanium Natural Titanium Desert Titanium |
প্রস্থ | 77.6 mm |
ওয়াটারপ্রুফ | হ্যাঁ |
বেধ | 8.25 mm |
আইপি রেটিং | IP68 (6 মিটার পর্যন্ত 30 মিনিট) |
ধুলা প্রুফ | হ্যাঁ (IP68) |
ব্যাটারির ধরন | Li-Ion (অপসারণযোগ্য নয়) |
দ্রুত চার্জিং | হ্যাঁ (৫০% চার্জ ৩০ মিনিটে) |
ব্যাটারি ক্ষমতা | 4676mAh (অনুমিত) |
ইউএসবি | USB-C (USB 3.0, 10Gb/s) |
চার্জিং স্থাপনা | USB-C, MagSafe (25W), Qi2 (15W) |
রিভার্স চার্জিং | হ্যাঁ (MagSafe accessories) |
রযাম | 8GB LPDDR5X |
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ | 256GB / 512GB / 1TB |
ইউএসবি ওটিজি | হ্যাঁ |
স্টোরেজ টাইপ | NVMe |
RAM টাইপ | LPDDR5X |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G, 5G (mmWave + Sub-6GHz) |
সিমের সাইজ | eSIM (Physical SIM নেই) |
সিম স্লট | Dual eSIM |
VoLTE | হ্যাঁ |
EDGE | হ্যাঁ |
গতি | 5G: Gigabit-class LTE |
জিপিএস | Dual-frequency GPS, GLONASS, Galileo, QZSS, BeiDou |
WLAN | Wi-Fi 7 (802.11be) |
ইনফ্রারেড | না |
ব্লুটুথ | Bluetooth 5.3 |
NFC | হ্যাঁ |
ইউএসবি | USB-C with USB 3.0 |
ওয়াই-ফাই হটস্পট | হ্যাঁ |
GPRS | হ্যাঁ |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর | না |
ফিঙ্গার সেন্সর টাইপ | প্রযোজ্য নয় |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের অবস্থান | প্রযোজ্য নয় |
ফেস আনলক | হ্যাঁ (Face ID with TrueDepth) |
লাইট সেন্সর | হ্যাঁ (Dual ambient light sensors) |
লাউডস্পিকার | হ্যাঁ (Stereo speakers) |
অডিও জ্যাক | না (Lightning to 3.5mm adapter প্রয়োজন) |
ভিডিও |
HEVC, H.264, AV1, ProRes 4K HDR playback Dolby Vision, HDR10+ |
তৈরিকৃত দেশ | চীন (Apple Inc. USA ডিজাইন) |
বৈশিষ্ট্য |
• Apple Intelligence AI সিস্টেম • Camera Control বাটন • Action Button • Dynamic Island • MagSafe সাপোর্ট • Spatial Video/Photo • Always-On Display • ProMotion 120Hz • Titanium Build • Emergency SOS via satellite |
ডিসপ্লে এবং ডিজাইন
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত একটি বড় আকারের ডিসপ্লে নিয়ে আসবে, যা ৬.৯ ইঞ্চি হতে পারে। প্রোমোশন টেকনোলজি সহ সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওএলইডি ডিসপ্লে থাকতে পারে, যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করবে। এতে আরও ভালো ব্রাইটনেস এবং কালার অ্যাকুরেসি থাকতে পারে, যা বহিরঙ্গন ব্যবহারের সময় আরও ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Infinix Note 50 Pro Plus এর দাম price In BD
ডিজাইনের ক্ষেত্রে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত টাইটানিয়াম বডি নিয়ে আসবে, যা আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে প্রথম চালু হয়েছিল। এটি ফোনটিকে আরও হালকা এবং টেকসই করবে। সম্ভবত নতুন কালার অপশনও থাকবে, যা আগের মডেলগুলো থেকে আলাদা হবে।
প্রসেসর এবং পারফরম্যান্স
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে সম্ভবত এ১৮ প্রো চিপ ব্যবহার করা হবে, যা ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এই নতুন চিপটি আগের মডেলের তুলনায় আরও দ্রুত এবং শক্তিশালী হবে, বিশেষ করে এআই এবং মেশিন লার্নিং টাস্কের জন্য। এতে আরও ভালো গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স থাকবে, যা গেমিং এবং ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য আদর্শ হবে।
ক্যামেরা ক্ষমতা
ক্যামেরার ক্ষেত্রে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আশা করা যাচ্ছে। সম্ভবত এতে একটি নতুন ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর থাকবে, যা আরও ভালো লাইট কালেকশন এবং ডিটেইল ক্যাপচার করতে পারবে। আল্ট্রা-ওয়াইড এবং টেলিফটো লেন্সেও উন্নতি আসতে পারে, যা আরও ভার্সেটাইল ফটোগ্রাফির সুযোগ দেবে।
নাইট মোড, পোর্ট্রেট মোড এবং ভিডিও রেকর্ডিং ক্ষমতাতেও উন্নতি আসতে পারে। সম্ভবত নতুন সফটওয়্যার ফিচার যুক্ত হবে, যা ফটো এবং ভিডিও এডিটিংকে আরও সহজ করে তুলবে।
ব্যাটারি লাইফ এবং চার্জিং
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে সম্ভবত আরও বড় ব্যাটারি থাকবে, যা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের সুযোগ দেবে। আগের মডেলের তুলনায় এটি আরও কার্যকর ব্যাটারি লাইফ প্রদান করতে পারে, বিশেষ করে ভারী ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
চার্জিং ক্ষমতার ক্ষেত্রে, সম্ভবত ফাস্ট চার্জিং এবং ম্যাগসেফ ওয়্যারলেস চার্জিং সমর্থন থাকবে। এমনকি রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচারও যুক্ত হতে পারে, যা অন্যান্য ডিভাইস চার্জ করার সুযোগ দেবে।
স্টোরেজ অপশন
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত বিভিন্ন স্টোরেজ অপশন নিয়ে আসবে, যেমন ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি, এবং ১ টেরাবাইট। এতে আরও বেশি স্টোরেজ স্পেস থাকবে, যা হাই-রেজোলিউশন ফটো এবং ভিডিও সংরক্ষণের জন্য আদর্শ হবে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: পূর্ববর্তী মডেলের তুলনায় নতুন কী
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের সাথে তুলনা করলে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নতি থাকতে পারে। প্রথমত, প্রসেসরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা আরও দ্রুত এবং স্মুথ পারফরম্যান্স প্রদান করবে। দ্বিতীয়ত, ক্যামেরা সিস্টেমে উন্নতি আসবে, বিশেষ করে লো-লাইট ফটোগ্রাফি এবং জুম ক্ষমতায়।
ডিসপ্লেতেও উন্নতি আসতে পারে, যেমন আরও উচ্চ ব্রাইটনেস এবং ভালো কালার অ্যাকুরেসি। ব্যাটারি লাইফও আরও ভালো হতে পারে, যা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের সুযোগ দেবে।
সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত আইওএস ১৮ এর সাথে আসবে, যাতে নতুন এআই ফিচার এবং অন্যান্য উন্নতি থাকবে। এটি ব্যবহারকারীদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশে দাম
বাংলাদেশে iPhone 16 Pro Max এর দাম সম্পর্কে এখনও কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনি। তবে আগের মডেলগুলোর দাম এবং গ্লোবাল প্রাইসিং বিবেচনা করে, এর সম্ভাব্য দাম অনুমান করা যেতে পারে।
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স বাংলাদেশে লঞ্চ হয়েছিল ২,০০,০০০ টাকা থেকে ২,৫০,০০০ টাকার মধ্যে, যা স্টোরেজ অপশন অনুযায়ী ভিন্ন ছিল। সেই হিসেবে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম সম্ভবত ২,২০,০০০ টাকা থেকে ২,৮০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
বাংলাদেশে আইফোনের দামের উপর কিছু ফ্যাক্টর প্রভাব ফেলে, যেমন:
১. আমদানি শুল্ক এবং ট্যাক্স
২. মুদ্রা বিনিময় হার
৩. ডিস্ট্রিবিউটর মার্জিন
৪. মার্কেট ডিমান্ড
এই ফ্যাক্টরগুলোর কারণে, বাংলাদেশে আইফোনের দাম সাধারণত অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Symphony Z72 (128GB) এর দাম Price In BD
বাংলাদেশে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স কোথায় কিনবেন
বাংলাদেশে iPhone 16 Pro Max কেনার জন্য বেশ কিছু অপশন থাকবে। অফিসিয়ালি, আপনি নিম্নলিখিত স্থানগুলো থেকে এটি কিনতে পারেন:
অথরাইজড অ্যাপল রিসেলার
বাংলাদেশে অ্যাপলের অথরাইজড রিসেলারদের মাধ্যমে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স কেনা যাবে। এই রিসেলাররা অ্যাপলের সাথে সরাসরি যুক্ত এবং তারা অরিজিনাল প্রোডাক্ট সরবরাহ করে থাকেন। ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের রিসেলারদের দোকান রয়েছে, যেমন বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, এবং অন্যান্য শপিং মলে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস
বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স পাওয়া যাবে। দারাজ, প্রিয়শপিং, বাইসেলস এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে এটি লিস্টেড হবে। অনলাইনে কেনার সুবিধা হলো আপনি বাসায় বসেই অর্ডার করতে পারেন এবং পণ্য হোম ডেলিভারি পেতে পারেন।
ফিজিক্যাল স্টোর
ঢাকা এবং অন্যান্য বড় শহরের বিভিন্ন মোবাইল ফোনের দোকানেও আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স পাওয়া যাবে। বাংলামোটর, ইস্টার্ন প্লাজা, এবং অন্যান্য মোবাইল মার্কেটে এটি বিক্রি হবে। ফিজিক্যাল স্টোর থেকে কেনার সুবিধা হলো আপনি প্রোডাক্টটি সরাসরি দেখে এবং চেক করে কিনতে পারেন।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশে উপলব্ধতা এবং রিলিজ ডেট
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ গ্লোবালি লঞ্চ হবে। বাংলাদেশে এটি সাধারণত লঞ্চের ১-২ মাসের মধ্যে পাওয়া যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স অক্টোবর বা নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
প্রি-অর্ডার সাধারণত অফিসিয়াল লঞ্চের আগে শুরু হয়, যা থেকে আপনি প্রথম ব্যাচের প্রোডাক্ট পেতে পারেন। প্রি-অর্ডার করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হতে পারে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তুলনা
বাংলাদেশের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মার্কেটে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবে স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলো, যেমন গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা। এছাড়াও গুগল পিক্সেল, ওয়ানপ্লাস, এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম মডেলগুলোও প্রতিযোগিতা করবে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রার সাথে তুলনা
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, বিশেষ করে এর ডিসপ্লে, ক্যামেরা, এবং ব্যাটারি লাইফের কারণে। গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রাতে সম্ভবত একটি বড় ডায়নামিক এএমওএলইডি ডিসপ্লে থাকবে, যা আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের ওএলইডি ডিসপ্লের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
ক্যামেরার ক্ষেত্রে, গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রাতে সম্ভবত একটি ২০০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর থাকবে, যা আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল সেন্সরের চেয়ে বেশি রেজোলিউশন প্রদান করবে। তবে আইফোনের ইমেজ প্রসেসিং এবং ভিডিও কোয়ালিটি সাধারণত ভালো হয়।
ব্যাটারি লাইফের ক্ষেত্রে, গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রাতে সম্ভবত একটি বড় ব্যাটারি থাকবে, যা আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের তুলনায় দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপ দিতে পারবে।
অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তুলনা
গুগল পিক্সেল ৮ প্রো এবং ওয়ানপ্লাস ১২ এর মতো মডেলগুলোও আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। এই ডিভাইসগুলো সাধারণত আইফোনের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায়, কিন্তু ফিচার এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে মূল্য সম্পর্কে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স কেনার মূল্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর দাম অনেক বেশি হওয়ায়, এটি সবার জন্য সহজলভ্য নয়। তবে যারা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো অপশন হতে পারে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের মূল্য নির্ধারণ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত
১. লং-টার্ম ইউজ: আইফোন সাধারণত ৫-৬ বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার আপডেট পায়, যা অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশি। সুতরাং, দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি একটি ভালো বিনিয়োগ হতে পারে।
২. রিসেল ভ্যালু: আইফোনের রিসেল ভ্যালু সাধারণত অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশি থাকে। সুতরাং, ভবিষ্যতে আপনি যদি এটি বিক্রি করতে চান, তাহলে আপনি একটি ভালো দাম পেতে পারেন।
৩. ইকোসিস্টেম: যদি আপনি ইতিমধ্যেই অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহার করেন, যেমন ম্যাকবুক, আইপ্যাড, বা অ্যাপল ওয়াচ, তাহলে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স আপনার জন্য আরও বেশি মূল্যবান হবে, কারণ এটি আপনার অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সহজেই সিঙ্ক হবে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশে অ্যাক্সেসরিজ এবং অতিরিক্ত খরচ
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স কেনার পর, আপনাকে কিছু অতিরিক্ত অ্যাক্সেসরিজ কিনতে হতে পারে, যা আপনার মোট খরচ বাড়িয়ে দেবে। এই অ্যাক্সেসরিজগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কেস এবং স্ক্রিন প্রোটেক্টর
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের জন্য একটি ভালো কোয়ালিটির কেস এবং স্ক্রিন প্রোটেক্টর কেনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ডিভাইসকে স্ক্র্যাচ, ডেন্ট, এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। বাংলাদেশে অ্যাপলের অরিজিনাল কেস এবং স্ক্রিন প্রোটেক্টর পাওয়া যায়, যার দাম ২,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এছাড়াও থার্ড-পার্টি অ্যাক্সেসরিজও পাওয়া যায়, যা তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়।
অ্যাপল কেয়ার+
বাংলাদেশে অ্যাপল কেয়ার+ এর সুবিধা সীমিত, তবে কিছু অথরাইজড রিসেলার এই সার্ভিস প্রদান করে থাকেন। অ্যাপল কেয়ার+ আপনার ডিভাইসকে এক্সিডেন্টাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে এবং প্রিমিয়াম সাপোর্ট প্রদান করে। এর দাম সাধারণত ১৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
অন্যান্য অ্যাক্সেসরিজ
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের জন্য আপনি আরও কিছু অ্যাক্সেসরিজ কিনতে পারেন, যেমন:
ওয়্যারলেস চার্জার
কার চার্জার
ইয়ারফোন (যেহেতু আইফোনে হেডফোন জ্যাক নেই)
পাওয়ার ব্যাংক
এই অ্যাক্সেসরিজগুলোর দাম ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশে iPhone 16 Pro Max ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
নেটওয়ার্ক কম্প্যাটিবিলিটি
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স বাংলাদেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে কাজ করবে, যেমন গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এবং টেলিটক। এটি ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থন করবে, যা দ্রুত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ডাউনলোডিং এর সুযোগ দেবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে Samsung Galaxy A36 এর দাম (Price In BD)
লোকাল অ্যাপস এবং সার্ভিস
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অ্যাপস যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, পাঠাও, উবার, এবং অন্যান্য অ্যাপস সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও বাংলা ভাষা সাপোর্ট থাকবে, যা বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
আফটার-সেলস সার্ভিস
বাংলাদেশে আইফোনের আফটার-সেলস সার্ভিস সীমিত, তবে কিছু অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ডিভাইসের জন্য সাপোর্ট পেতে পারেন। এছাড়াও কিছু থার্ড-পার্টি রিপেয়ার সেন্টারও রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার ডিভাইস মেরামত করতে পারেন।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স: ভবিষ্যতের আপডেট এবং সাপোর্ট
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স সম্ভবত আইওএস ১৮ এর সাথে আসবে, এবং এটি ভবিষ্যতে আরও ৫-৬ বছর পর্যন্ত আইওএস আপডেট পাবে। এর মানে হলো, আপনি এই ডিভাইসটি দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করতে পারবেন এবং সর্বশেষ ফিচার এবং সিকিউরিটি আপডেট পাবেন।
আইওএস আপডেটের মাধ্যমে আপনি নতুন ফিচার, পারফরম্যান্স উন্নতি, এবং সিকিউরিটি প্যাচ পাবেন। এটি আপনার ডিভাইসকে আপ-টু-ডেট রাখবে এবং নতুন থ্রেট থেকে রক্ষা করবে।
উপসংহার
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স বাংলাদেশের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মার্কেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে চলেছে। এর উন্নত ফিচার, শক্তিশালী পারফরম্যান্স, এবং লং-টার্ম সাপোর্ট এটিকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ করে তুলবে।
যদিও এর দাম অনেক বেশি, তবে এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার, রিসেল ভ্যালু, এবং অ্যাপল ইকোসিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যতা এটিকে একটি ভালো বিনিয়োগ করে তোলে। বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য iPhone 16 Pro Max একটি আকর্ষণীয় অপশন হবে, যা তাদের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।
তবে কেনার আগে, আপনার বাজেট, চাহিদা, এবং ব্যবহারের ধরণ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একটি প্রিমিয়াম স্মার্টফোন খুঁজছেন যা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করা যাবে এবং সর্বশেষ ফিচার সমর্থন করবে, তাহলে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স আপনার জন্য একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
ইভিনিং বিডিতে কমেন্ট করুন
comment url